Logo

চাকরি    >>   বেসামরিক প্রশাসনে ( ডি সি ) নিয়োগ কেলেঙ্কারি একটি সংকটময় অধ্যায়

বেসামরিক প্রশাসনে ( ডি সি ) নিয়োগ কেলেঙ্কারি একটি সংকটময় অধ্যায়

বেসামরিক প্রশাসনে ( ডি সি ) নিয়োগ কেলেঙ্কারি একটি সংকটময় অধ্যায়

বর্তমান সময়ে দেশের বেসামরিক প্রশাসনে নিয়োগ সংক্রান্ত এক ভয়াবহ কেলেঙ্কারি প্রকাশিত হয়েছে, যা প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও আলী আযমের মধ্যে কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। এসব আলাপচারিতায় ডিসি (জেলা প্রশাসক) নিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি সামনে এসেছে।

বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এই কেলেঙ্কারি সরকারের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ডিসি নিয়োগের পেছনে বৃহত্তর আর্থিক সুবিধা রয়েছে, যা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

প্রশাসনের ভেতরে অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে আগের মতোই গুজব ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। সুত্র বলছে, ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে যেসব আলোচনা হয়েছে, তা অত্যন্ত গোপনীয় এবং সংবেদনশীল ছিল। কথোপকথনে দেখা যায়, বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের জন্য নির্বাচিত নামগুলো গোপনে চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়েই নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।

এছাড়াও, প্রশাসনের অভ্যন্তরে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এই বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ উঠেছে, যেখানে কর্মকর্তারা নিজেদের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছেন।

মহান আল্লাহর সাহায্যে জনগণের প্রতি এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে দেয় যে প্রশাসনে স্বচ্ছতা এবং সততা অপরিহার্য। সরকারের উচিত এই কেলেঙ্কারির মূল নায়কদের শনাক্ত করা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। দেশের বেসামরিক প্রশাসনের অভ্যন্তরে দুর্নীতি নির্মূল না হলে এর ফল ভোগ করতে হবে দেশের সাধারণ মানুষকেই।

দেশের প্রশাসনে নিয়োগ নিয়ে এই কেলেঙ্কারি আমাদের জন্য একটি বড় দৃষ্টান্ত। এটি প্রমাণ করে যে, প্রশাসনে স্বচ্ছতা এবং সততার অভাব দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই আমাদের সবার জন্য প্রয়োজন সতর্কতা, সচেতনতা এবং একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে।